সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের বিশ্বনাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই চালকের নাম কামরুল ইসলাম (১৯)। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানার বিবিদলই এলাকার রাস্তার পাশে পড়ে থাকা লাশটি উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আজ রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনজনকে আটক এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও অটোরিকশাটি উদ্ধার করা করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার আটঘর গ্রামের আবদুর রুপের ছেলে আবদুস সালাম (২৯), একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০) এবং সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটের এলাকার বাসিন্দা আলফু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, নিহত অটোরিকশা চালক বিশ্বনাথ এলাকার বাসিন্দা। গতকাল শনিবার বিকেলে আটকরা যাত্রীবেশে অটোরিকশাটি ভাড়া নেন তারা। কিন্তু রাত ১০টায় অটোরিকশা চালকের পরিবারের সদস্যরা তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পান। এরপর থেকে তারা চালক কামরুল ইসলামকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
ওসি আরো বলেন, অটোরিকশা চালকসহ তার গাড়ি ভাড়া করে যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে দেখতে পান চালকের এক নিকট আত্মীয়। আজ রবিবার সকালে আটঘর গ্রামের আটক নাজিম উদ্দিনকে ডেকে আনেন নিহত চালকের স্বজনরা। পরে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এ সময় তার সঙ্গে আবদুস সালাম নামের অপর একজন ছিলেন বলে জানান তিনি। পরে এলাকাবাসী আবদুস সালামকে আটক করে।
খবর পেয়ে পুলিশ আটকদের থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাদেরকে নিয়ে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে অভিযানে নামে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদইল এলাকার একটি ফসলি জমির পানি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় থেকে উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি।
লাশ বর্তমানে দক্ষিণ সুরমা থানায় রাখা হয়েছে বলে ওসি জানান।